পরিচিতি

স্থাপন: ১৯৯৪

রেজিস্ট্রেশন নাম্বার: IV-20/১৯৯৪, তারিখ ৬/৯/১৯৯৪ ইং

অবস্থান: পাবনা শহরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সিংগা এলাকায়।

পরিবেশ: শান্ত সৃষ্ট কোলাহলমুক্ত গাছপালা দ্বারা পরিবেশিত।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: ক্যাম্পাস বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রতিদিন ঝাড়ু দেওয়া হয়। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়। সাত সদস্য বিশিষ্ট পরিচ্ছন্ন টিম মাঝে মাঝে এ কাজ তদারকি করে থাকে।

ধরন/প্রকৃতি: এটি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। বলতে কি এটি সমাজের অবহেলিত মানুষের ঠিকানা।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: মানবতার কল্যাণ সাধন।
এককথায় সমাজের সর্বস্তরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া, সম্ভাব্য আর্থিক সহায়তা সহ সব ধরনের কল্যাণ কামনা।

জমির পরিমাণ: ১৯৯৪ সালে ১০ কাঠা জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হলে সমাজের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসায় এখন জমির পরিমাণ ০১ একর বা ০৩ বিঘা এসব জমি ট্রাস্টের নামে ক্রয়কৃত।

শিক্ষার ধরন: সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রদের ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়ার সুযোগ আছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্ররা ব্রেইল পদ্ধতিতে কায়দা ও কোরআন শরীফ পড়ে। এছাড়া কিছু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র স্কুল ও কলেজে পড়ে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্ররা প্রতিবছরই জেএসসি এসএসসি এইচএসসি ডিগ্রী ও অনার্স পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে পাস করছে।

ছাত্রদের আবাসিক সুবিধা:
*খাবার মানসম্মত খাবার তিন বেলা
*লেখাপড়া জনিত খরচ (শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত উপকরণ)
*চিকিৎসা
*পোশাক পরিচ্ছদ জনিত খরচ
এক কথায় নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত খরচ ট্রাস্টের।

উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা: শহরের বিত্তবান লোকেরা সপ্তাহে প্রায় তিন চার দিন দুপুরের উন্নতমানের খাবারের আয়োজন করে থাকে।

পবিত্র মাহে রমজানের খাবারের ব্যবস্থা: প্রায় প্রতিদিনই উন্নতমানের ইফতার ও খাবারের ব্যবস্থা থাকে।

ছাত্রদের বিনোদনের ব্যবস্থা: ক্যাম্পাসে রয়েছে খেলার মাঠ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্ররা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে।

শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীর পরিসংখ্যান:
শিক্ষক ৮ জন কর্মচারী ৬ জন সর্বমোট ১৪ জন।

ছাত্র পরিসংখ্যান (আবাসিক):
এতিম ১৫ জন
অভিভাবকহীন শিশু (স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ জনিত): ৯ জন
নিঃস্ব অসহায় দরিদ্র ২৮ জন
পিতা পাগল অথচ দরিদ্র ১ জন
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৬৫ জন
শারীরিক প্রতিবন্ধী ১০ জন
হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী ২ জন
পথশিশু ১২ জন
অটিস্টিক ২ জন
পা দিয়ে লেখা ১ জন

সর্বমোট ১৪৫ জন।

উল্লেখ্য ছাত্র সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ২৩ টি জেলার ছাত্র ট্রাস্টে অবস্থান করছে। অনেকেরই মা বাবা নেই, খোঁজখবর নেয়ার অভিভাবকও নেই।

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের ছাত্রদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা: সকল ধর্মের শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা এখানে আছে। ইতিপূর্বে হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের একজন করে ছাত্র এখানে পড়ালেখা করছে। বর্তমানে পাঁচজন হিন্দু ছাত্র ট্রাস্টে অবস্থান করছে।

অবকাঠামো তথ্য:
ছাত্রদের পৃথক আবাসন।
একাধিক গোসলখানা ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট
খেলার মাঠ
পানির সুব্যবস্থা তিনটি সাবমার্সেল ও একটি নলকূপ
সার্বক্ষণিক বিদ্যুতায়ন ব্যাবস্থা ও একটি জেনারেটর আছে।

আয়ের উৎস:
পাবনা শহরের বিত্তবান লোকেদের মাসিক অনুদান। উল্লেখ্য বর্তমানে মাসিক সদস্য সংখ্যা ১৫০ জন।
জালসা থেকে আয়।
এককালীন অনুদান।
যাকাত, ফিতরা, সাদকা, মান্নত।
কোরবানির চামড়া বিকৃত অর্থ।

মাসিক আয় ব্যয়:
আয়- ২ লক্ষ টাকার কিছু বেশি
ব্যয়- ২ লক্ষ টাকার মত

বিল্ডিং নির্মাণ ব্যয়: জনগণের অর্থায়নে সাধারণত নির্মাণ কাজ চলে।

হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি:
হিসাব রক্ষক হিসাব সংরক্ষণ করেন।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর প্রধান শিক্ষক অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করেন।
প্রতিদিনের আদায় পরের দিন ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় হাতে কোন অর্থ থাকে না।
ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনপূর্বক খরচ করা হয়।

বিদায়ী ছাত্রদের কর্মস্থলে প্রবেশ:
সংরক্ষিত তথ্য অনুসারে ২০০৮ সালের থেকে বিদায় ১৫ জন ছাত্র কর্মস্থলে প্রবেশ করেছে।

ব্যাংক হিসাব:
সঞ্চয়ী= মানব কল্যাণ ট্রাস্ট, সিংগা, পাবনা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, পাবনা শাখা, পাবনা। অ্যাকাউন্ট নাম্বার ৫৪৫৭।
গোরাবা হিসাব (শুধু হিসাব)- ৪৮৩৭১

ওয়াক্ত হিসাব (আজীবন দাতা সদস্য হিসাব, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে)
বর্তমান সঞ্চয়ের পরিমাণ: ১৬,৫০,০০০/-
আজীবন দাতা সদস্য: ১৪০ জন
অর্জিত মুনাফা: ২৭/৩/২০১৯ তারিখে ২,১২,০০০/-
(দুই লক্ষ বার হাজার টাকা।)

সরকারি কর্মকর্তাদের ট্রাস্ট পরিদর্শন:
জেলা প্রশাসক মহোদয়গণ বিভিন্ন সময়ে ট্রাস্ট পরিদর্শন করেছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়। জনাব মোঃ শফিউল আলম ২৪/৩/২০০৮ সূত্র দৈনিক ইছামতি। (বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব)
জনাব হাবিবুল্লাহ মজুমদার, তৎকালীন সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ৭/২/২০১১ সূত্র দৈনিক ইছামতি।
জনাব তপন চৌধুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
জনাব আবু তাহের খান, সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অবসরপ্রাপ্ত এলজিইডি।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
হুমায়ুন এ কামাল, প্রাক্তন সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেনকে সাদা মনের মানুষ ঘোষণা:
সূত্র যায় যায় দিন তারিখ ১২/৬/২০০৮

উল্লেখ্য, দুই বিঘা জায়গার উপর অসহায়দের জন্য একটি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করে ২৭ জন প্রতিবন্ধী ছাত্রের পুনর্বাসন।

ক্রোমোন্নতি: এই কথা সত্য যে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানেরা এগিয়ে আশায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের অগ্রযাত্রা হয়েছে আর এরূপ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে সকলের বিশ্বাস।

প্রচার: ২০০২ সালের পর থেকে ট্রাস্ট এর কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে এভাবে:
টিভি চ্যানেল: বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার প্রচার করেছে। এজন্য সিডি আছে।
জাতীয় পত্র-পত্রিকা: আমাদের কন্ঠ, দৈনিক সমকাল, যায় যায় দিন, প্রথম আলো, কালের কন্ঠ।
রাজশাহী হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক সোনালী সংবাদ, দৈনিক সানশাইন, দৈনিক রাজ বার্তা।
কুষ্টিয়া হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক বজ্রপাত।
পাবনা হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক ইছামতি।
বগুড়ার হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক বগুড়া।
নওগাঁ হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক করতোয়া।

পাবনা প্রেস ক্লাবের ভূমিকা: পাবনা প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্যদের অনেকেই বিভিন্ন সময় ট্রাস্ট পরিদর্শনপূর্বক অনুকূল ভূমিকা রেখেছেন।

সরে জমিনে প্রতিষ্ঠান দেখার অনুরোধ: সরে জমিনে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলে অনেক কিছু দেখা যাবে যেমন: গ্রীন হাউজ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, কৃষি জাদুঘর, মৃত্তিকা জাদুঘর, শিশু গ্যালারি, টাকা জাদুঘর, পানি জাদুঘর, পরিবেশে মানচিত্র, বিলুপ্ত সামগ্রী জাদুঘর, পাখা জাদুঘর, আম গাছের উপর একটি গবেষণা বিলবোর্ড, বাংলা বর্ণমালার উপর একটি গবেষণা বিলবোর্ড, ৬০ ফিট লম্বা একটি বাশ।

উল্লেখ্য সংরক্ষিত সিডি দেখে অতিরিক্ত তথ্য জানা যাবে। তথ্য বিবরণী বই দেখে ট্রাস্ট সম্পর্কে ধারণা পরিস্কার হবে এবং ব্রেইল পদ্ধতির পাঠাগার দেখে ব্রেইল পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা পরিস্কার হবে।

নতুন ভবন নির্মাণ: পঞ্চম তলা বিশিষ্ট
সম্প্রতি ছাত্রদের আবাসন জনিত সংকটের কারণে ট্রাস্ট এর উত্তর পাশে ৮০ ফুট x ৩০ ফুট আয়তন বিশিষ্ট পঞ্চম তলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ আরম্ভ করা হয়েছে। পাইলিং এর কাজ চলছে। নির্মিতব্য এই ভবনের কাজ সমাপ্ত করতে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। মেয়াদ ২ বছর। এটা সম্পূর্ণ ফি সাবিলিল্লাহ দানের উপর নির্ভরশীল। এজন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বলছি, মানবাধিকার সংস্থা ওআইসি কে বলছি, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশগুলোর দূতাবাসকে বলছি, সমাজের সুধীজনদের বলছি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বলছি, তারা এগিয়ে এসে এককালীন কিছু দেবেন। তারা মনে করবেন এটা তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কল্যাণ কামনায় তারা আমার পাশে দাঁড়াবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
দরিদ্র অথচ মেধাবী প্রতিবন্ধী ছাত্রীদের আবাসিকভাবে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করন। এই উদ্দেশ্যে দাতা ব্যক্তি বা সংস্থা পাওয়া গেলে আপাতত শহরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্কুল কলেজে অধ্যায়নরত প্রতিবন্ধী ছাত্রীদের আবাসিক লেখাপড়ার ব্যবস্থা করন।
পাবনা জেলা ছাড়া অন্য জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত গরিব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দান।
একটি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করা। সমাজের অবহেলিত অসহায় প্রবীনদের জন্য একটি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা। আর এজন্য ট্রাস্ট সংলগ্ন এক বিঘা জমি ক্রয় করা হবে এতে ব্যয় হবে এক কোটি টাকা।
একটি ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন। সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। এ কাজে একজন ডাক্তার সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সম্ভাব্য ব্যবস্থা করা হবে।
ওয়াকসহ হিসেবে অবশিষ্ট ৮৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহ। পত্র হিসাবের জন্য আজীবন দাতা সংগ্রহের লক্ষ্যে সমাজের দানবীর ভাই-বোনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবশিষ্ট ৮৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করার জন্য পত্রপত্রিকায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হবে।

প্রচারে
অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন
বি.কম অনার্স এম.কম হিসাববিজ্ঞান
চেয়ারম্যান
মানব কল্যাণ ট্রাস্ট, সিংগা, পাবনা।

প্রাক্তন বিভাগীয় চেয়ারম্যান
হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা।
মোবাইল: ০১৭২৪৩৮৬৫৩৯

স্থাপন: ১৯৯৪

রেজিস্ট্রেশন নাম্বার: IV-20/১৯৯৪, তারিখ ৬/৯/১৯৯৪ ইং

অবস্থান: পাবনা শহরের বাইপাস সড়ক সংলগ্ন সিংগা এলাকায়।

পরিবেশ: শান্ত সৃষ্ট কোলাহলমুক্ত গাছপালা দ্বারা পরিবেশিত।

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা: ক্যাম্পাস বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। প্রতিদিন ঝাড়ু দেওয়া হয়। ময়লা আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা হয়। সাত সদস্য বিশিষ্ট পরিচ্ছন্ন টিম মাঝে মাঝে এ কাজ তদারকি করে থাকে।

ধরন/প্রকৃতি: এটি একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। বলতে কি এটি সমাজের অবহেলিত মানুষের ঠিকানা।

লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: মানবতার কল্যাণ সাধন।
এককথায় সমাজের সর্বস্তরের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া, সম্ভাব্য আর্থিক সহায়তা সহ সব ধরনের কল্যাণ কামনা।

জমির পরিমাণ: ১৯৯৪ সালে ১০ কাঠা জমি নিয়ে প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হলে সমাজের বিত্তবান দানশীল ব্যক্তিরা এগিয়ে আসায় এখন জমির পরিমাণ ০১ একর বা ০৩ বিঘা এসব জমি ট্রাস্টের নামে ক্রয়কৃত।

শিক্ষার ধরন: সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্রদের ব্রেইল পদ্ধতিতে লেখাপড়ার সুযোগ আছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্ররা ব্রেইল পদ্ধতিতে কায়দা ও কোরআন শরীফ পড়ে। এছাড়া কিছু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্র স্কুল ও কলেজে পড়ে।

পরীক্ষায় অংশগ্রহণ: দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্ররা প্রতিবছরই জেএসসি এসএসসি এইচএসসি ডিগ্রী ও অনার্স পরীক্ষায় অংশ নিয়ে কৃতিত্বের সাথে পাস করছে।

ছাত্রদের আবাসিক সুবিধা:
*খাবার মানসম্মত খাবার তিন বেলা
*লেখাপড়া জনিত খরচ (শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত উপকরণ)
*চিকিৎসা
*পোশাক পরিচ্ছদ জনিত খরচ
এক কথায় নিত্য প্রয়োজনীয় সমস্ত খরচ ট্রাস্টের।

উন্নত মানের খাবারের ব্যবস্থা: শহরের বিত্তবান লোকেরা সপ্তাহে প্রায় তিন চার দিন দুপুরের উন্নতমানের খাবারের আয়োজন করে থাকে।

পবিত্র মাহে রমজানের খাবারের ব্যবস্থা: প্রায় প্রতিদিনই উন্নতমানের ইফতার ও খাবারের ব্যবস্থা থাকে।

ছাত্রদের বিনোদনের ব্যবস্থা: ক্যাম্পাসে রয়েছে খেলার মাঠ লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলার ব্যবস্থা আছে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাত্ররা নিয়মিত ক্রিকেট খেলে।

শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মচারীর পরিসংখ্যান:
শিক্ষক ৮ জন কর্মচারী ৬ জন সর্বমোট ১৪ জন।

ছাত্র পরিসংখ্যান (আবাসিক):
এতিম ১৫ জন
অভিভাবকহীন শিশু (স্বামী-স্ত্রীর বিচ্ছেদ জনিত): ৯ জন
নিঃস্ব অসহায় দরিদ্র ২৮ জন
পিতা পাগল অথচ দরিদ্র ১ জন
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ৬৫ জন
শারীরিক প্রতিবন্ধী ১০ জন
হুইল চেয়ার ব্যবহারকারী ২ জন
পথশিশু ১২ জন
অটিস্টিক ২ জন
পা দিয়ে লেখা ১ জন

সর্বমোট ১৪৫ জন।

উল্লেখ্য ছাত্র সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে ২৩ টি জেলার ছাত্র ট্রাস্টে অবস্থান করছে। অনেকেরই মা বাবা নেই, খোঁজখবর নেয়ার অভিভাবকও নেই।

ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল ধর্মের ছাত্রদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা: সকল ধর্মের শিশুদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা এখানে আছে। ইতিপূর্বে হিন্দু বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মের একজন করে ছাত্র এখানে পড়ালেখা করছে। বর্তমানে পাঁচজন হিন্দু ছাত্র ট্রাস্টে অবস্থান করছে।

অবকাঠামো তথ্য:
ছাত্রদের পৃথক আবাসন।
একাধিক গোসলখানা ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট
খেলার মাঠ
পানির সুব্যবস্থা তিনটি সাবমার্সেল ও একটি নলকূপ
সার্বক্ষণিক বিদ্যুতায়ন ব্যাবস্থা ও একটি জেনারেটর আছে।

আয়ের উৎস:
পাবনা শহরের বিত্তবান লোকেদের মাসিক অনুদান। উল্লেখ্য বর্তমানে মাসিক সদস্য সংখ্যা ১৫০ জন।
জালসা থেকে আয়।
এককালীন অনুদান।
যাকাত, ফিতরা, সাদকা, মান্নত।
কোরবানির চামড়া বিকৃত অর্থ।

মাসিক আয় ব্যয়:
আয়- ২ লক্ষ টাকার কিছু বেশি
ব্যয়- ২ লক্ষ টাকার মত

বিল্ডিং নির্মাণ ব্যয়: জনগণের অর্থায়নে সাধারণত নির্মাণ কাজ চলে।

হিসাব সংরক্ষণ পদ্ধতি:
হিসাব রক্ষক হিসাব সংরক্ষণ করেন।
প্রতিদিন সন্ধ্যার পর প্রধান শিক্ষক অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা করেন।
প্রতিদিনের আদায় পরের দিন ব্যাংকে জমা দেওয়া হয় হাতে কোন অর্থ থাকে না।
ব্যাংক থেকে অর্থ উত্তোলনপূর্বক খরচ করা হয়।

বিদায়ী ছাত্রদের কর্মস্থলে প্রবেশ:
সংরক্ষিত তথ্য অনুসারে ২০০৮ সালের থেকে বিদায় ১৫ জন ছাত্র কর্মস্থলে প্রবেশ করেছে।

ব্যাংক হিসাব:
সঞ্চয়ী= মানব কল্যাণ ট্রাস্ট, সিংগা, পাবনা। ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, পাবনা শাখা, পাবনা। অ্যাকাউন্ট নাম্বার ৫৪৫৭।
গোরাবা হিসাব (শুধু হিসাব)- ৪৮৩৭১

ওয়াক্ত হিসাব (আজীবন দাতা সদস্য হিসাব, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে)
বর্তমান সঞ্চয়ের পরিমাণ: ১৬,৫০,০০০/-
আজীবন দাতা সদস্য: ১৪০ জন
অর্জিত মুনাফা: ২৭/৩/২০১৯ তারিখে ২,১২,০০০/-
(দুই লক্ষ বার হাজার টাকা।)

সরকারি কর্মকর্তাদের ট্রাস্ট পরিদর্শন:
জেলা প্রশাসক মহোদয়গণ বিভিন্ন সময়ে ট্রাস্ট পরিদর্শন করেছেন।
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার মহোদয়। জনাব মোঃ শফিউল আলম ২৪/৩/২০০৮ সূত্র দৈনিক ইছামতি। (বর্তমান মন্ত্রী পরিষদ সচিব)
জনাব হাবিবুল্লাহ মজুমদার, তৎকালীন সচিব, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ৭/২/২০১১ সূত্র দৈনিক ইছামতি।
জনাব তপন চৌধুরী ব্যবস্থাপনা পরিচালক স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
জনাব আবু তাহের খান, সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার অবসরপ্রাপ্ত এলজিইডি।
আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সচিব, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।
হুমায়ুন এ কামাল, প্রাক্তন সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।

অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেনকে সাদা মনের মানুষ ঘোষণা:
সূত্র যায় যায় দিন তারিখ ১২/৬/২০০৮

উল্লেখ্য, দুই বিঘা জায়গার উপর অসহায়দের জন্য একটি আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন করে ২৭ জন প্রতিবন্ধী ছাত্রের পুনর্বাসন।

ক্রোমোন্নতি: এই কথা সত্য যে সমাজের হৃদয়বান ও বিত্তবানেরা এগিয়ে আশায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের অগ্রযাত্রা হয়েছে আর এরূপ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে বলে সকলের বিশ্বাস।

প্রচার: ২০০২ সালের পর থেকে ট্রাস্ট এর কার্যক্রম ব্যাপকভাবে প্রচার হয়েছে এভাবে:
টিভি চ্যানেল: বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বিভিন্ন সময়ে একাধিকবার প্রচার করেছে। এজন্য সিডি আছে।
জাতীয় পত্র-পত্রিকা: আমাদের কন্ঠ, দৈনিক সমকাল, যায় যায় দিন, প্রথম আলো, কালের কন্ঠ।
রাজশাহী হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক সোনালী সংবাদ, দৈনিক সানশাইন, দৈনিক রাজ বার্তা।
কুষ্টিয়া হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক বজ্রপাত।
পাবনা হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক ইছামতি।
বগুড়ার হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক বগুড়া।
নওগাঁ হতে প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক করতোয়া।

পাবনা প্রেস ক্লাবের ভূমিকা: পাবনা প্রেসক্লাবের কার্যকরী সদস্যদের অনেকেই বিভিন্ন সময় ট্রাস্ট পরিদর্শনপূর্বক অনুকূল ভূমিকা রেখেছেন।

সরে জমিনে প্রতিষ্ঠান দেখার অনুরোধ: সরে জমিনে প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করলে অনেক কিছু দেখা যাবে যেমন: গ্রীন হাউজ, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, কৃষি জাদুঘর, মৃত্তিকা জাদুঘর, শিশু গ্যালারি, টাকা জাদুঘর, পানি জাদুঘর, পরিবেশে মানচিত্র, বিলুপ্ত সামগ্রী জাদুঘর, পাখা জাদুঘর, আম গাছের উপর একটি গবেষণা বিলবোর্ড, বাংলা বর্ণমালার উপর একটি গবেষণা বিলবোর্ড, ৬০ ফিট লম্বা একটি বাশ।

উল্লেখ্য সংরক্ষিত সিডি দেখে অতিরিক্ত তথ্য জানা যাবে। তথ্য বিবরণী বই দেখে ট্রাস্ট সম্পর্কে ধারণা পরিস্কার হবে এবং ব্রেইল পদ্ধতির পাঠাগার দেখে ব্রেইল পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা পরিস্কার হবে।

নতুন ভবন নির্মাণ: পঞ্চম তলা বিশিষ্ট
সম্প্রতি ছাত্রদের আবাসন জনিত সংকটের কারণে ট্রাস্ট এর উত্তর পাশে ৮০ ফুট x ৩০ ফুট আয়তন বিশিষ্ট পঞ্চম তলা একটি ভবন নির্মাণের কাজ আরম্ভ করা হয়েছে। পাইলিং এর কাজ চলছে। নির্মিতব্য এই ভবনের কাজ সমাপ্ত করতে ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় হবে। মেয়াদ ২ বছর। এটা সম্পূর্ণ ফি সাবিলিল্লাহ দানের উপর নির্ভরশীল। এজন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের বলছি, মানবাধিকার সংস্থা ওআইসি কে বলছি, ঢাকাস্থ মুসলিম দেশগুলোর দূতাবাসকে বলছি, সমাজের সুধীজনদের বলছি, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষিকাদের বলছি, তারা এগিয়ে এসে এককালীন কিছু দেবেন। তারা মনে করবেন এটা তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান। প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কল্যাণ কামনায় তারা আমার পাশে দাঁড়াবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।

ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা:
দরিদ্র অথচ মেধাবী প্রতিবন্ধী ছাত্রীদের আবাসিকভাবে লেখাপড়ার ব্যবস্থা করন। এই উদ্দেশ্যে দাতা ব্যক্তি বা সংস্থা পাওয়া গেলে আপাতত শহরে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে স্কুল কলেজে অধ্যায়নরত প্রতিবন্ধী ছাত্রীদের আবাসিক লেখাপড়ার ব্যবস্থা করন।
পাবনা জেলা ছাড়া অন্য জেলার বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যয়নরত গরিব প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিয়মিত আর্থিক সহায়তা দান।
একটি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা করা। সমাজের অবহেলিত অসহায় প্রবীনদের জন্য একটি বৃদ্ধাশ্রম প্রতিষ্ঠা। আর এজন্য ট্রাস্ট সংলগ্ন এক বিঘা জমি ক্রয় করা হবে এতে ব্যয় হবে এক কোটি টাকা।
একটি ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন। সমাজের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য একটি ফ্রি চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। বিনামূল্যে ওষুধ সরবরাহ করা হবে। এ কাজে একজন ডাক্তার সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবেন। উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে সম্ভাব্য ব্যবস্থা করা হবে।
ওয়াকসহ হিসেবে অবশিষ্ট ৮৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহ। পত্র হিসাবের জন্য আজীবন দাতা সংগ্রহের লক্ষ্যে সমাজের দানবীর ভাই-বোনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অবশিষ্ট ৮৪ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করার জন্য পত্রপত্রিকায় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানানো হবে।

প্রচারে
অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন
বি.কম অনার্স এম.কম হিসাববিজ্ঞান
চেয়ারম্যান
মানব কল্যাণ ট্রাস্ট, সিংগা, পাবনা।

প্রাক্তন বিভাগীয় চেয়ারম্যান
হিসাববিজ্ঞান বিভাগ
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা।
মোবাইল: ০১৭২৪৩৮৬৫৩৯

Scroll to Top