আমি সুদীর্ঘ ২৭ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম, সময় ও শ্রম দিয়ে দেশের সকল শ্রেণীর প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে সংগ্রাম করে আসছি, ত্যাগ তিতিক্ষার পরিচয় দিয়েছি, ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়েছি, দিবারাত্রি পরিশ্রম করেছি, মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়েছি, অটিস্টিক শিশুদের কোলে তুলে নিয়েছি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়েছি, মানুষকে ডেকেছি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ কামনায়। বলতে কি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে টাকা অর্থ নয়, দান করেছি আমার মেধা ও শ্রম। পরিবারের দিকে তাকাইনি প্রতিবন্ধীদের কথা শোনা মাত্র ছুটে গিয়েছি, সেখানে তাদের পুনর্বাসনের ঘোষণা দিয়ে এসেছি। সাদামাটা জীবন পছন্দ করে পরিবারের সদস্যদের বাদ দিয়ে প্রতিবন্ধীদের স্বপ্ন পূরণে সর্বদাই এগিয়ে চলেছি। প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে আমি কোনদিন ভাতা নেইনি। সফরে এক কাপ চা ও খাইনি। নিজস্ব পেনশন দিয়েই চলেছি।
প্রতিষ্ঠানের আবাসিক ছাত্রদের সম্পূর্ণ খরচমুক্তভাবে শিক্ষাদানের মাধ্যমে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। শিক্ষার মান উন্নয়নকল্পে মাঝে মাঝে কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এসব কাজে আমাকে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিতে হয়েছে।
শিক্ষিত বেকার প্রতিবন্ধীদের চাকরির চেষ্টা করা হবে ইনশাল্লাহ। সমাজের অসহায় গরিব দুস্থ-বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের পাশে দাঁড়িয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অনাবাসিকভাবে প্রতিবন্ধী মেয়েদের লেখাপড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অটিস্টিক শিশুদের মাসিক ভাতা দেওয়া হয়েছে। বলা যায় প্রতিবন্ধীদের স্বপ্নপূরণে সর্বদাই এগিয়ে চলেছি। আমার আকাঙ্খা মানবতার সেবায় আমি মরতে চাই।
বিপদাপন্ন মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সহানুভূতি জানানো হবে। সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা করা হবে। সেবা কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন জায়গায় স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা হবে। মানবিক কার্যক্রম শুধু সাময়িক হবে না, এর অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশের সর্বত্রই মানবিক কার্যক্রমকে চালিয়ে নিয়ে অসহায়দের অসহায়ত্ব লাঘবের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কর্মহীনদের জন্য কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে ।
ইসলামের দৃষ্টিতে হিজড়াদের স্বাভাবিক জীবন যাপন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আমার আবেদন
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমার প্রতিষ্ঠানে সরেজমিনের পরিদর্শনপূর্বক প্রতিবন্ধীদের কল্যাণ কামনায় এগিয়ে আসবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অত্র ট্রাস্ট পরিদর্শন করব সহায়তা করবেন।
আমার বিশ্বাস সিটি কর্পোরেশনগুলো এগিয়ে আসবেন।
সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় আর্থিক সহায়তা ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিদেশি দূতাবাসগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
বিদেশি সাংবাদিকগণ ট্রাস্ট পরিদর্শনপূর্বক ওআইসি ও আইডিবি সহ দূতাবাস গুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ সহায়তার হাত বাড়াবেন। তাহারা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক শিশুদের চিকিৎসা সহ অর্থায়নের ব্যবস্থা নেবেন।
আমি মনে করি সমাজের সচ্ছল ব্যক্তিবর্গগন আমার প্রতি সহায়তার হাত বাড়াবেন।
উল্লেখ্য, দেশের প্রতিটি বিভাগে গিয়ে এই ঘোষণাপত্র প্রচার করে দেশবাসীর নিকট আমার জীবনের রূপরেখা তুলে ধরা হবে।
মানবতার সেবা ও অগ্রযাত্রায়-
অধ্যাপক মোঃ আবুল হোসেন (অবঃ)
বি.কম অনার্স, এম.কম (হিসাববিজ্ঞান)
সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান
মানকল্যাণ ট্রাস্ট, সিংগা, পাবনা
*সাদা মনের মানুষ
সদস্য, সমাজ কল্যাণ পরিষদ, পাবনা
মোবাইলঃ ০১৭২৪৩৮৬৫৩৯